ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ও গিগ তৈরি
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ও গিগ তৈরি এই সম্পর্কে অনেকেই বিস্তারিত ভাবে জানে না। কিভাবে এটি খুলতে হয় এবং গিগ তৈরি করে পাবলিশ করতে হয়। মার্কেটপ্লেস এ কাজ করার জন্য ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ও গিগ তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বর্তমানে অনলাইনে ইনকাম করার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে মার্কেটপ্লেস ফাইবার। কেউ যদি মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে চাই তাহলে থাকি এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ও গিগ তৈরি
- ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ও গিগ তৈরি
- ফাইবার একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন
- ফাইবারে কিভাবে একাউন্ট খুলতে হয়
- গিগ কি
- গিগ তৈরি করার নিয়ম
- বাংলাদেশে সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কি ফাইবার
- ফাইবারে কোন ধরনের কাজ দিয়ে থাকে
- শেষ কথা
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ও গিগ তৈরি
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ও গিগ তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে ফাইবার ইনকাম করার অন্যতম একটি পদ্ধতি। এর মাধ্যম দিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ সেখান থেকে তাদের দক্ষতা দিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। এটি এমন এক জায়গা যেখানে মানুষের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ দেওয়া নেওয়া হয়ে থাকে। তাই যারা ফাইবারে কাজ করতে চায় বা নিতে চায় তাদেরকে ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়।
অনেকেই আছেন যারা ফাইবার কি বা ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে তেমন ধারণা পায় না। তাই আজকের এই আর্টিকেলে কিভাবে আপনি একটি সুন্দর ফাইবার একাউন্ট খুলবেন এবং সেইসাথে সুন্দর করে একটি গিগ তৈরি করবেন এবং সেটিকে রেঙ্কে নিয়ে যাবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। কিন্তু ফাইবার একাউন্ট খোলার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে আপনার কাজের দক্ষতা থাকতে হবে নইলে একাউন্ট খুলে সেখানে আপনি কাজ করতে পারবেন না।
ফাইবার একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন
যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার তারা অনেকেই ফাইবারে কাজ করার জন্য অনেক আগ্রহী হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে কিভাবে কাজ করতে হয় সেই বিষয়ে তারা জানে না। বা ফাইবারে কাজ করার জন্য কিভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় সে সম্পর্কে অনেকেই বিস্তারিত ভাবেই জানে না। যার জন্য তারা অ্যাকাউন্ট সঠিকভাবে খুলতে পারেনা। আর সঠিকভাবে একাউন্ট খোলা না করার কারণে তারা সেখান থেকে কাজের অর্ডার পায় না। তাহলে চলুন জেনে নেই ফাইবার একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন হয়।
ফাইবার একাউন্ট খুলতে যা যা প্রয়োজন
- ফাইবারে যদি আপনি এখন খুলতে চান তাহলে আপনার একটি স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থাকা আবশ্যক। সেই সাথে আপনার একটি ভালো মানের নেটওয়ার্কের প্রয়োজন।
- তারপরেই আপনাকে আপনার সঠিক পরিচয় পত্র দিতে হবে মানে আপনার ভোটের আইডি কার্ড অথবা জন্ম সনদ দিয়ে খুলতে পারেন।
- ফাইবার একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে আপনার ফোন নাম্বার ও একটি জিমেইল দিতে হবে।
- এখন খোলার সময় পাসপোর্ট সাইজের একটি ছবি দিতে হবে।
যদি আপনার উপরের জিনিসপত্রগুলো ঠিকঠাক ভাবেই থাকে তাহলে আপনি এগুলো দিয়ে ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
ফাইবারে কিভাবে একাউন্ট খুলতে হয়
যারা ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ করতে চাই বা সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে চাই তারা অনেকেই মার্কেটপ্লেস এ ফাইবারকে চুজ করে থাকে। কারণ ফাইবার থেকে অনেক ভালো মানের কাজ পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা আর্টিকেল রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ পারে তারা মূলত ফাইবারে কাজ করতে চাই। কিন্তু যারা নতুন তারা ফাইবারে কিভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় সে সম্পর্কে তারা জানেনা। আজকের এই আর্টিকেলে ফাইবারে একাউন্ট খোলার বিস্তারিত আলোচনা করব।
যেভাবে ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুলবেনঃ
- প্রথমে আপনাকে গুগলে গিয়ে ফাইবার ডট কম লিখে সার্চ করতে হবে। তারপর যে ওয়েবসাইটটি আসবে সেখানে ক্লিক করে জয়েন বাটনে যেতে হবে।
- জয়েন্ট ব বাটনে ক্লিক করার পর একটি ড্যাশবোর্ড আসবে তারপর আপনি যদি জিমেইল দিয়ে খুলতে চান তাহলে কন্টিনিউ উইথ জিমেইল এ ক্লিক করতে হবে।
- তারপরে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য দুইটি অপশন আসবে। একটি হচ্ছে সেলার আর অপরটি হচ্ছে বায়ার। যদি আপনি কাজ করতে চান তাহলে সেলার অ্যাকাউন্ট খুলবেন। আর কাজ নিতে চান তাহলে বায়ার অ্যাকাউন্ট খুলবেন।
- তারপরে কন্টিনিউ উইথ জিমেইল আসবে সেখানে ক্লিক করার পর আপনাকে আপনার জিমেইল ও পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
- পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরে আপনার একটি ইউজার নাম চাইবে। সেটি দেওয়ার পরে মাই একাউন্ট নামে একটি অপশন আসবে। সেখানে ক্লিক করলে আপনার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।
আশা করব যদি আপনি ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে উপরের নিয়ম গুলো মেনে একাউন্ট খুললে কোন সমস্যা হবে না। নির্দ্বিধায় সবকিছু হয়ে যাবে।
গিগ কি
ফাইবার একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে গিগ দিতে হয়। আর এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি কোন ধরনের কাজ দিয়ে থাকেন, আপনার কাজের রেট কেমন ও কাজের দক্ষতা ইত্যাদিকে গিগ বলে। আপনার গিগ যত ভালো হবে আপনার কাজের অর্ডার তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাই গিগ তৈরীর সময় অনেক সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে এটি সঠিক ও সুন্দরভাবে করতে পারেন। কেননা এটি থেকেই আপনি আপনার অর্ডার পেয়ে থাকবেন।
গিগ এর জন্য অনেকেই কাজ পায় না। তাই যারা এটি করতে চান তাদেরকে আমি বলব এ বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে তারপর গিগ করবেন। কেননা এটি দেখেই একজন বায়ার আপনাকে তারা কাজগুলি দিতে চাইবে। তাই বলা যায় যে এ বিষয়ে একজন ফ্রিল্যান্সারের সঠিকভাবে সবকিছু জানা উচিত।
গিগ তৈরি করার নিয়ম
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ও গিগ তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা একজন ফ্রিল্যান্সার ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার পরে যদি সে সুন্দর করে একটি গিগ তৈরি না করতে পারে তাহলে কোন বায়ার তাকে কাজ দিতে যাবে না। একজন ফ্রিল্যান্সারের গিগ যত সুন্দর হবে তত কাজের চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকবে। তাই এটি তৈরি করার পূর্বে অবশ্যই এর সঠিক নিয়ম জেনে নেওয়া উচিত। না হলে বা এর কাছ থেকে কাজ পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যাবে। তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার একাউন্ট খোলার পর একটি আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করবে।
- গিগ তৈরির জন্য প্রথমে একটি গিগ টাইটেল দিতে হবে। টাইটেলে আপনি যে কাজ পারেন তা ৮০ ওয়ার্ডের মধ্যে দিতে হবে।
- গিগের একটি ক্যাটাগরি ও সাব কেটে করে দিতে হবে।
- এরপর আপনার গিগ এর কাজ রিলেটেড কিছু ট্যাগ দিতে হবে।
- আপনার কাজের মূল্য কত সে সম্পর্কে বিস্তারিত দিতে হবে।
- আপনি কোন ধরনের কাজ পারেন সে কাজের উল্লেখ করে দিতে হবে।
- আবার আপনি কোন সময় থেকে কোন সময়ের মধ্যে অনলাইনে থাকেন সেই সম্পর্কে দিতে হবে।
- কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দিতে হবে।
- আপনার গিগ এর জন্য ছবি দিতে হবে। ছবির সাইজ হবে ৫ এমবি এর মধ্যে হতে হবে
তবে অবশ্যই এটা মনে রাখতে হবে যে একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় গিগ আপনার অর্ডার বা কাজ নিয়ে আসতে পারে। তাই আপনার উচিত এটিকে বেশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলা। আর মাঝেমধ্যে বায়ারদের কাছ থেকে কাজের ভালো রিভিউ নেওয়া। যাতে করে পরবর্তীতে যে বায়ার গুলো আসবে তারা আপনার কাজের দক্ষতা দেখে ভালো কাজের রিভিউ দেখে পরবর্তীতে বেশি বেশি কাজের অর্ডার দিবে।
বাংলাদেশ সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কি ফাইবার
বাংলাদেশে অনলাইনে ইনকাম করার অন্যতম একটি সাইড হচ্ছে ফাইবার। যেখানে হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত কাজের জন্য কাজ দেওয়া নেওয়া করে থাকে। যারা কাজ নিয়ে থাকে তারা সেখান থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের কাজ পেয়ে থাকে। এই সাইটটি হচ্ছে একটি বিশস্ত ও নির্ভরযোগ্য কয়েকটি ওয়েবসাইট। যেখানে কাজ করার পর কোন ফাঁকি দেওয়া হয় না।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়ার মত অনেক দেশের লোকজন এখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে না। তাহলে চলুন জেনে নেই কি কারণে ফাইবার মার্কেটপ্লেস বাংলাদেশের সেরা।
- ফাইবারে ধরনের ক্যাটাগরির কাজ দেওয়া নেওয়া হয়।
- এখানে কাজের জন্য কোন ঝামেলা করতে হয় না। সুন্দর করে একটি গিগ তৈরি করে দিলেই বায়ার কাজের জন্য খোঁজ করে নেই।
- যদি ফাইবারে একবার আপনি কাজ পেয়ে যান তাহলে সেখানে দ্বিতীয় বার কাজের কোন খোজ করা লাগে না।
- এই জায়গায় একটু পরিশ্রম করলে টাকা ইনকাম করা যায়।
- বিশেষ করে যখন বাইরের দেশ থেকে অর্ডার আসে তখন ডলারের পরিমাণ অনেক বেশি হয়।
ফাইবারে কোন ধরনের কাজ দিয়ে থাকে
ফাইবার এমন একটি কাজ করা যায় না যেখানে বিভিন্ন ধরনের আপনি কাজ নিতেও দিতে পারবেন। এ জায়গায় কাজ নিয়ে কোন ঝামেলা করা লাগেনা। কাজের অর্ডার দেওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে সেলার পাওয়া যায় এবং কাজ দেওয়ার জন্য বায়ারও পাওয়া যায়।
এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের কাজ করানো হয়। যেমনঃ ওয়েব ডিজাইন , গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ করা হয়ে থাকে। যার যেটা কাজের প্রয়োজন সে সেখান থেকে অর্ডার দেয়।
শেষ কথা
অবশেষে বলা যায় যে ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ও গিগ তৈরি একটি সহজ কাজ।আর এখানে অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url