ফর্সা হওয়ার সব থেকে ভালো সাবান বেছে নেওয়া অনেক কঠিন কাজ।
কারণ, ব্যক্তি ভেদে ত্বকের ধরন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে সেই সাথে এক এক
ধরনের ত্বক সংবেদনশীলতা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে কিছু শাবান আছে যেগুলো
সব ত্বক এর জন্য উপযুক্ত।
রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বক নিয়ে অনেকেই কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে যায়।
মসৃণ ত্বক এর জন্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সাবানের খোঁজ করে থাকে। এবং
সাবানে ইউজ করলে ফর্সা হওয়া যায় এবংত্বক হবে কমল ও মসৃণ । তাহলে
চলুন জেনে নেই কোন কোন সাবান ব্যবহারের মাধ্যমে ফর্সা হওয়া যায়।
ফর্সা হওয়ার সবথেকে ভালো সাবান সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। আমাদের কাছে রয়েছে এই সমস্যার জন্য নিখুঁত সমাধান
। এই আর্টিকেলে জানানো হবে এমন কয়েকটি আশ্চর্যজনক সাবানের
নাম। যেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ত্বক হবে ফর্সা ও সতেজ। কিন্তু আপনার
উচিত সাবান ব্যবহারের পাশাপাশি সঠিক ভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া ।
ফর্সা হওয়ার জন্য নিম্নে কয়েকটি সবচেয়ে ভালো সাবানের নাম উল্লেখ করা হলো।
kojie san skin lightening soap
Glutathine soap
Ponds white beauty spot less fairness face wash
Dove bar
Himaliya
Likas papaya skin whitening
Pears white health soap
Lux white glow soap
Oriplame golden white soap
Beone whitening soap
Nibea soap
Medi white soap
Olay nature soap
ফর্সা হওয়ার জন্য ঘরোয়া উপায় সাবান তৈরি
ফর্সা হওয়ার জন্য বাজারে অনেক ধরনের সাবান পাওয়া যায় , যেগুলো তাড়াতাড়ি ত্বক
কে উজ্জ্বল করে তোলে। তবে মনে রাখতে হবে এগুলো ত্বক
এর জন্য ক্ষতিও হতে পারে। তাই ঘরোয়া উপায়ে সাবান তৈরি করার
কিছু উপায় রয়েছে। যা ত্বক কে করবে উজ্জ্বল এবং কমল করতে সাহায্য করে
থাকে। এই সাবান গুলো সাধারণত প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। তাই এগুলো
থেকে কোন রকম ক্ষতি কর দিক পাওয়া যায় না।
নিজে একটি প্রাকৃতিক উপায়ে সাবান তৈরি করার পদ্ধতি দেওয়া হল।
উপকরণঃ
গ্লিসারিন সাবান-এক কাপ
মধু-এক চা চামচ
পাকা কলা-একটি
চন্দন গুড়া-এক চামচ
পানি-এক কাপ
ভিটামিন ই ক্যাপসুল-একটি
প্রস্তুত প্রণালীঃ
গ্লিসারিন সাবানটিকে ছোট ছোট করে পিস পিস করে নিতে হবে ।
তারপরে এই সাবানগুলোকে হালকা গরম পানিতে গলে নিতে হবে।
পাকা কলা টিকে ভালো করে একটি বাটিতে মিক্সড করে নিতে হবে।
তারপর গ্লিসারিন সাবান এর গলানো গুলো ও পাকা কলার মিক্সড এর সাথে
মধু, চন্দন গুড়া, পানি ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসাথে নিয়ে ভালো করে
ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
তারপর এটিকে ভিনেগার দিয়ে সংরক্ষণ করে নিতে পারেন ।
ফর্সা হওয়ার সব থেকে ভালো সাবানের নাম
বর্তমানে ফর্সা হওয়ার সবথেকে ভালো সাবান সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায় ।
কারণ, দিন কাজকর্ম করার পর অনেকের ত্বক রুক্ষ সূক্ষ্ম হয়ে যায়। এমনকি অনেকের
ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। যার কারণে অনেকে বিরক্ত বোধ হয়। এইসব থেকে
মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু কিছু সাবান রয়েছে যেগুলো এসব সমস্যা থেকে
মুক্তি দেয়। সেই সম্পর্কে জেনে আসি।
ফর্সা হওয়ার সব থেকে ভালো সাবানঃ
Dove Bar: ডাভ বিউটি বার একটি হাইড্রেটিং বার সাবান যা
ত্বকে আদ্রতা দিয়ে থাকে। এটি ত্বকে নরম ও মসৃণ করে তোলে।
ত্বকের ছিদ্র গুলিতে জমে থাকা ময়লা দূর করে নিখুঁতভাবে পরিষ্কার করে তোলে।
এটি এমন একটি সাবান যা ত্বকে আরো ফর্সা করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
The Body Soap Sia Saban: ত্বকে ফর্সা করতে সাবানটি সেরা সাবান
হিসেবে পরিচিত। এই সাবান অতিরিক্ত ময়লা কে দূর করে আপনার ত্বকে করবে মসৃণ ও নরম।
এই সাবানটি প্যারাবেন ও সালফেট মুক্ত। এই যে সম্পূর্ণ ভেষজ উপাদান দিয়ে
তৈরি। তাই এটি ব্যবহার করার পরে ত্বকে আর উজ্জ্বল করে তুলে।
Sandalwood Soap (চন্দনের সাবান) – ত্বক ফর্সা, দাগহীন ও সুগন্ধি করে তোলে। – যেমন: Mysore Sandal Soap
অনেকেই এই সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন করে থাকেন কিভাবে বা কি সাবান ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘ স্থায়ী মুখ ফর্সা করবে। কিন্তু এ সম্পর্কে বিস্তারিত কোন তথ্য বা ধারণা পাচ্ছে না। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র তাদের জন্য।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ান কিছু কিছু সাবান রয়েছে যেগুলা ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি দীর্ঘ স্থায়ী ফর্সা করতে পারবেন। তবে ব্যবহার বিধি সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। কারণ কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না।
এখানে কিছু কিছু ফর্সা হওয়ার সব থেকে ভালো সাবান নাম দেওয়া হলো যেগুলো আপনার জন্য অনেক কার্যকরীঃ
ডাভ সাবান
গোল্ডেন গ্লো সাবান
সাদা লাক্স
আপনি যদি এই সাবান গুলো দিনে একবার ও একদিন পরপর অথবা প্রতিদিন ব্যবহার করেন তাহলে এক থেকে দুই মাস পরে একটা ভালো ফলাফল পেতে পারেন।
শরীর ফর্সা হওয়ার জন্য যে সাবান ভালো
বর্তমান যুগে শরীর ফর্সা হওয়া তেমন কিছু কঠিন কাজ নয়। কারণ বর্তমানে এমন ধরনের কিছু সাবান রয়েছে যেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি এক মাসের মধ্যে ফর্সা হয়ে যাবেন। তাই আর দেরি নয় চলুন জেনে নেই কোন কোন ধরনের সাবান ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি পুরো শরীর ফর্সা করে নিবেন।
Glutathine soap
Ponds white beauty spot less fairness face wash
Dove bar
Himaliya
Likas papaya skin whitening
Pears white health soap
Lux white glow soap
Oriplame golden white soap
Beone whitening soap
এলোভেরা সাবানের উপকারিতা
অ্যালোভেরা হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক উপাদান। যেটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ত্বকের কোন ক্ষতি হবে না। তাই সব সময় চেষ্টা করবেন সব সময় প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করার। আজকের এই আর্টিকেলে আপনাকে জানাবো কিভাবে এলোভেরা সাবান আপনার ত্বকে উজ্জ্বল করবে ও এর উপকারিতা।
আপনি যদি অ্যালোভেরা সাবান দিনে দুইবার এবং প্রতিদিন ব্যবহার করেন তাহলে দেখবেন একমাস পরে আপনার ত্বক আগের থেকে অনেক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে আপনি মাঝেমধ্যে গাছের এলোভেরা রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার মুখের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
ভিটামিন সি যুক্ত সাবানের উপকারিতা
ভিটামিন সি যুক্ত সাবান আপনার ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হবে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা আপনার তোকে বলি রাখা দূর করে এবং সেই সাথে আরো উজ্জ্বল করে তোলে।
ভিটামিন সি যুক্ত সাবান ত্বকের কলাজেন উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বকের কষগুলোকে আরো শক্তিশালী করে তুলে। এটি ব্রণের সমস্যা দূর করে এবং ব্রণের যে ক্ষত এবং সেই সাথে ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান
ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ সব ত্বকের জন্য সব ধরনের সাবান উপকার নিয়ে আসে না। তাই ত্বকের ধরণ অনুযায়ী আপনাকে অবশ্যই সাবান ব্যবহার করা উচিত। নয়তো ক্ষতি হতে পারে।
যদি কারো ত্বক অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব হয় তাহলে তাদের জন্য অলিভ অয়েল অথবা চা গাছের চা পান ব্যবহার করা উত্তম। এতে করে ত্বকের ভিতরে থাকা অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে আপনার তো কে আগের অনেক উজ্জ্বল হবে।
আবার দেখা যায় যে অনেকের ত্বক অনেক শুষ্ক তাদের জন্য ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করা উচিত। এতে করে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং সেই সাথে শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে।
আবার অনেকেরই ত্বক অতিরিক্ত সেনসিটি বা সংবেদনশীল হয় তাদের জন্য মৃদু বা এলার্জি মুক্ত সাবান বেছে নেওয়া উচিত। যেমনঃ পন্স হোয়াইট বিউটি এবং লাক্স সাবান ইত্যাদি।
ফর্সা হওয়ার জন্য ডাক্তারি সাবান
আমরা অনেক সময় বাজার থেকে যেকোনো ধরনের সাবান কিনে ব্যবহার করতে শুরু করি। এতে করি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। এটি মূলত তোকে ধরন অনুযায়ী সাবান ব্যবহার না করার জন্য হয়ে থাকে।
তাই বলা যায় যে ফর্সা হওয়ার জন্য সাবান ব্যবহারে পূর্বে অবশ্যই একজন স্কিন ডাক্তার এর পরামর্শ নেয়া উচিত। তাহলে উনি আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী সাবান ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়ে থাকবেন।
পরামর্শ ও সাবধানতা
ফর্সা হওয়ার সাবান ব্যবহারে পূর্বে অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
জেনে রাখা উচিত। কেননা বাজারে কিনতে পাওয়া সব সাবান সব ধরনের ত্বকের জন্য
উপকার নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর দিক নিয়ে আসে। ত্বকের স্বাস্থ্য ও
নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ । এখানে কিছু পরামর্শ ও সাবধানতা সম্পর্কে
দেওয়া হলঃ
পরামর্শ
ত্বকের ধরন বুঝি সাবান নির্বাচন করতে হবে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজিং এবং তেল তেলে ত্বকের জন্য অয়েল
কন্ট্রোল সাবান ব্যবহার করতে হবে।
ফর্সা হওয়ার সব থেকে ভালো সাবান নির্বাচন করতে হবে।
যেসব সাবান প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হয়েছে সেগুলো ইউজ করতে হবে।
যদি পারেন ঘরোয়া উপায় সাবান তৈরি করে ব্যবহার করবেন।
সাবধানতা
সাবান ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই সময়সীমা জেনে রাখতে হবে।
অতিরিক্ত সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকতে হবে।
যেসব সাবানগুলো রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।
FAQ
ফর্সা হওয়ার সব থেকে ভালো সাবান এই সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্ন তার উত্তর দেওয়া হলোঃ
প্রশ্ন ১: ফর্সা হওয়ার জন্য আসলেই কি কোনো সাবান কার্যকর?
উত্তর: কিছু সাবান ত্বকের ময়লা, মৃত কোষ ও দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে পারে। তবে পুরোপুরি গায়ের রং পরিবর্তন সম্ভব নয়। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক স্বাস্থ্যবান ও ফর্সা দেখাতে পারে।
প্রশ্ন ২: কোন উপাদানযুক্ত সাবান ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে?
উত্তর: চন্দন (Sandalwood), হলুদ (Turmeric), পেঁপে (Papaya), গ্লুটাথিওন (Glutathione), ও কোজিক অ্যাসিড (Kojic acid) – এসব উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কার্যকর।
প্রশ্ন ৩: ফর্সা হওয়ার জন্য প্রতিদিন কতবার সাবান ব্যবহার করা উচিত?
উত্তর: দিনে ২ বার – সকালে ও রাতে মুখ পরিষ্কার করতে ফর্সা হওয়ার উপযোগী সাবান ব্যবহার করা ভালো। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বক শুষ্ক করে দিতে পারে।
প্রশ্ন ৪: ত্বকের ধরন অনুযায়ী কী আলাদা সাবান ব্যবহার করা উচিত?
উত্তর: হ্যাঁ।
শুষ্ক ত্বকের জন্য: ময়েশ্চারাইজিং সাবান (যেমন গ্লিসারিন বা অলিভ অয়েলযুক্ত)
তেলতেলে ত্বকের জন্য: পেঁপে, কোজিক অ্যাসিড বা নিমযুক্ত সাবান
সংবেদনশীল ত্বকের জন্য: হারবাল বা অ্যালোভেরা সাবান ভালো
প্রশ্ন ৫: কি সাবান ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে?
উত্তর:Kojie San, Gluta-C, Silka Papaya, Mysore Sandal, Vaadi Herbal – এগুলো বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এবং বাংলাদেশেও সহজলভ্য।
শেষ মন্তব্যঃ ফর্সা হওয়ার সব থেকে ভালো সাবান
সবাই চায় উজ্জ্বল ও দাগহীন সুন্দর ত্বক। তবে ফর্সা হওয়ার জন্য শুধুমাত্র সাবান ব্যবহার করলেই হবে না, ত্বকের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত সাবান নির্বাচন করা জরুরি। প্রাকৃতিক উপাদানযুক্ত যেমন চন্দন, হলুদ, পেঁপে বা গ্লুটাথিওন সাবান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
তবে দীর্ঘস্থায়ী ফল পেতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, পরিমিত পানি পান ও সানস্ক্রিন ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। মনে রাখা দরকার, আসল সৌন্দর্য শুধু ফর্সা রঙে নয়, বরং স্বাস্থ্যবান ও পরিচ্ছন্ন ত্বকে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url