মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা বেতন কত 2025

 

মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা বেতন কত 2025 এই প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। কেননা যারা প্রবাসী কাজের জন্য বিদেশে যে থাকেন তারা সবাই যে কাজের চাহিদা বেশি সেই কাজ খুঁজে থাকেন এবং বেতন কত সেটা নিয়ে জানতে চান।

মালয়েশিয়ায়-কোন-কাজের-চাহিদা-বেশিবাংলাদেশ থেকে যারা মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য যেয়ে থাকেন তারা সবাই চেষ্টা করবে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি সেই অনুযায়ী কাজ করতে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা বেতন কত 2025

মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা বেতন কত 2025

মালয়েশিয়া হল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি উন্নত দেশ। এই দেশটি শ্রম বাজারে নিজেদেরকে অনেক উন্নত করতে চলেছে। এই দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। একেক জনের কাজের চাহিদা অনুযায়ী  এখানে কাজ দেওয়া হয়ে থাকে। 

যারা বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায়  কাজের জন্য যেতে চান তাঁরা অবশ্যই সেই দেশের কাজ সম্পর্কে জানার পরে জাবেন। এই দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদার মধ্যে রয়েছে কৃষি কাজ। যার মধ্যে অন্যতম হল পাম অয়েলের কাজ। যারা এই ধরনের কাজ করতে চান। তারা কৃষি কাজের ভিসাতে যেতে পারেন।

তাছাড়া এই দেশে আর বিভিন্ন ধররের কাজ রয়েছে । তাহলে চলুন জেনে নিই এই দেশে আর কি কি ধরনের কাজের চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে।
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • ক্লিনার
  • বিভিন্ন ধরনের মিস্ত্রির কাজ
  • রেস্টুরেন্টের কাজ
  • গবাদি পশু পালনের কাজ
  • ফ্যাক্টরির কাজ
  • ম্যাকানিক্যাল
  • কনস্ট্রাকশনের কাজ
  • গাড়ির ড্রাইভিং এর কাজ

তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে যে এই দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। কেউ যদি বাংলাদেশ থেকে এ সব কাজ করতে যেতে চাই তাহলে তাদেরকে এই কাজের ভিসায় যেতে হবে। যার জে কাজের প্রতি বেশি দক্ষতা সে সেই কাজ বেশি করে করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা করতে কি কি প্রয়োজন

মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা বা এমপ্লয়মেন্ট পাস হলো এমন একটি ভিসা, যার মাধ্যমে বিদেশিরা মালয়েশিয়ার কোনো কোম্পানিতে বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পান। যারা মালয়েশিয়ায় স্থায়ী চাকরি করতে চান বা দক্ষ কর্মী হিসেবে চাকরির অফার পেয়েছেন, তাদের জন্য এই ভিসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মূলত মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ইমিগ্রেশন বিভাগের অনুমোদনের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।

মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

  • বৈধ পাসপোর্ট কমপক্ষে ১৮ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে

  • কোম্পানির অফিসিয়াল চাকরির অফার লেটার

  • ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণকৃত ও সঠিকভাবে সাইন করা

  • কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্ট

  • কোম্পানির পক্ষ থেকে অনুমোদনপত্র

  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও অভিজ্ঞতার সনদ

  • সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজ ছবি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড

  • মেডিকেল চেকআপ রিপোর্ট Malaysia-র স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে

  • ভিসা প্রসেসিং ফি জমার রসিদ

সুতরাং বলা যায় যে কেউ যদি মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই উপরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা করার প্রসেস কি কি

যারা মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা করতে চাই তারা অনেকেই জানেনা যে কিভাবে এই ভিসা করবেন। তাই অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে থাকে। তাদের জন্য আজকেরে আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা বেতন কত 2025 ।

ধাপে ধাপে মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা প্রসেস, সময়সীমা ও খরচঃ

 চাকরির অফার লেটার সংগ্রহ

  • সময়সীমা: ১–৪ সপ্তাহ কোম্পানি খুঁজে পাওয়া ও অফার লেটার ইস্যু হতে

  • খরচ: সাধারণত কোম্পানি ফ্রি দেয়, তবে এজেন্টের মাধ্যমে করলে ৩০,০০০–৫০,০০০ টাকা বাংলাদেশি পর্যন্ত চার্জ করতে পারে।

কোম্পানির আবেদন 

  • সময়সীমা: ১–৩ সপ্তাহ

  • খরচ: কোম্পানি সাধারণত আবেদন ফি বহন করে, তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রার্থীকে দিতে হতে পারে (আনুমানিক ৫০০–৭০০ রিংগিত ≈ ১৩,০০০–২০,০০০ টাকা)।

 অনুমোদন পাওয়া 

  • সময়সীমা: ১–২ সপ্তাহ

  • খরচ: এখানে সাধারণত অতিরিক্ত চার্জ নেই।

 মেডিকেল চেকআপ 

  • সময়সীমা: ৩–৫ দিন (রিপোর্ট সহ)

  • খরচ: ৫,০০০–৭,০০০ টাকা (বাংলাদেশে গ্যামকা মেডিকেল ফি)।

ভিসা স্টিকার লাগানো / ভিসা অন এন্ট্রি

  • সময়সীমা: ৫–১০ দিন

  • খরচ:

    • ভিসা স্টিকার / এন্ট্রি ভিসা ফি: ১,০০০–১,৫০০ টাকা

    • এজেন্ট ফি থাকলে অতিরিক্ত ১০,০০০–১৫,০০০ টাকা

 মালয়েশিয়ায় প্রবেশ ও EP ইস্যু

  • সময়সীমা: ১–২ সপ্তাহ (কোম্পানি আপনার পাসপোর্ট জমা দিয়ে EP স্টিকার লাগাবে)

  • খরচ: সাধারণত কোম্পানি EP প্রসেসিং ফি দেয়।

 কাজ শুরু

  • সবকিছু শেষ হলে আপনার পাসপোর্টে ১–৩ বছরের EP স্টিকার থাকবে।

  • এখন আপনি আইনগতভাবে কাজ করতে পারবেন।

মোট আনুমানিক খরচ:
 যদি সরাসরি কোম্পানির মাধ্যমে করেন: ২৫,০০০–৩৫,০০০ টাকা (মেডিকেল + ভিসা ফি + ভ্রমণ খরচ বাদে)।
 যদি এজেন্টের মাধ্যমে করেন: ৩.৫–৫.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত (এজেন্ট, ভিসা, মেডিকেল ও অন্যান্য চার্জসহ)।

 সময়: গড়ে ১.৫–৩ মাস লাগতে পারে ।

মালয়েশিয়া কোম্পানি তে যাওয়ার জন্য কি কি ধরনের ভিসা করা যায়

মালয়েশিয়ার কোম্পানিতে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে, যা প্রার্থীর দক্ষতা, চাকরির ধরন ও কাজের সময়সীমার উপর নির্ভর করে। মালয়েশিয়া সরকার দক্ষ কর্মী, স্বল্প দক্ষ কর্মী এবং স্বল্পমেয়াদী প্রফেশনালদের জন্য আলাদা আলাদা ভিসা প্রদান করে। 

এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে Employment Pass, যা মূলত দক্ষ ও যোগ্য কর্মীদের জন্য; Temporary Employment Pass, যা স্বল্প দক্ষ বা সাধারণ শ্রমিকদের জন্য; এবং Professional Visit Pass, যা স্বল্প সময়ের পেশাগত কাজ বা প্রজেক্টের জন্য দেওয়া হয়। প্রতিটি ভিসার আলাদা নিয়ম, সময়সীমা ও সুবিধা রয়েছে, তাই ভিসা বেছে নেওয়ার আগে নিজের যোগ্যতা ও কাজের ধরন বিবেচনা করা জরুরি।

Employment Pass হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিসা, যেটা দক্ষ কর্মী, ইঞ্জিনিয়ার, আইটি স্পেশালিস্ট, অ্যাকাউন্টেন্ট বা ম্যানেজমেন্ট পদের জন্য দেওয়া হয়। এটি ১ থেকে ৩ বছরের জন্য দেওয়া হয় এবং মেয়াদ শেষে নবায়ন করা যায়। এই ভিসা পেতে হলে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও মালয়েশিয়ার কোনো কোম্পানি থেকে বৈধ চাকরির অফার থাকা আবশ্যক। কোম্পানি ESD (Expatriate Services Division) এর মাধ্যমে আপনার জন্য আবেদন করে এবং অনুমোদন পাওয়ার পর আপনি EP নিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারেন।

Temporary Employment Pass সাধারণত অদক্ষ বা স্বল্প দক্ষ কর্মীদের জন্য দেওয়া হয়। এটি ১২ মাসের জন্য বৈধ থাকে এবং শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সেক্টরে যেমন কনস্ট্রাকশন, ম্যানুফ্যাকচারিং, প্ল্যান্টেশন, এগ্রিকালচার ও সার্ভিস সেক্টরে দেওয়া হয়। এই ভিসা নবায়নযোগ্য তবে নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত। আবেদন প্রক্রিয়ায় গ্যামকা মেডিকেল, কোম্পানির অনুমোদন এবং ইমিগ্রেশনের কোটার অনুমোদন জরুরি। এটি তুলনামূলকভাবে সহজ এবং যারা অল্প শিক্ষিত বা সাধারণ শ্রমিক হিসেবে মালয়েশিয়ায় যেতে চান, তাদের জন্য উপযুক্ত।

Professional Visit Pass তাদের জন্য যারা স্বল্প সময়ের জন্য (সাধারণত ৬ থেকে ১২ মাস) মালয়েশিয়ায় পেশাগত কাজে যেতে চান। যেমন – ট্রেনিং, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, প্রজেক্ট-বেসড কাজ বা কনসালটেন্সি সেবা প্রদান। এই ভিসা দীর্ঘমেয়াদী চাকরির জন্য নয় এবং এর মেয়াদ শেষে প্রার্থীকে দেশে ফিরে আসতে হয়। কোম্পানি এই ভিসার জন্য স্পন্সর করে এবং Immigration Malaysia থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এটি বিশেষ করে কন্ট্রাক্ট বেসড এক্সপার্ট বা টেকনিক্যাল ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহৃত হয়।

মালয়েশিয়ার কোম্পানিতে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে, যা প্রার্থীর দক্ষতা, চাকরির ধরন ও কাজের সময়সীমার উপর নির্ভর করে। মালয়েশিয়া সরকার দক্ষ কর্মী, স্বল্প দক্ষ কর্মী এবং স্বল্পমেয়াদী প্রফেশনালদের জন্য আলাদা আলাদা ভিসা প্রদান করে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে Employment Pass, যা মূলত দক্ষ ও যোগ্য কর্মীদের জন্য; Temporary Employment Pass, যা স্বল্প দক্ষ বা সাধারণ শ্রমিকদের জন্য; এবং Professional Visit Pass, যা স্বল্প সময়ের পেশাগত কাজ বা প্রজেক্টের জন্য দেওয়া হয়। প্রতিটি ভিসার আলাদা নিয়ম, সময়সীমা ও সুবিধা রয়েছে, তাই ভিসা বেছে নেওয়ার আগে নিজের যোগ্যতা ও কাজের ধরন বিবেচনা করা জরুরি।

মালয়েশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি

যারা প্রবাসী কাজের জন্য বিদেশে যেয়ে থাকে তারা বিভিন্ন ধরনের কাজ খুঁজে থাকে। তবে এক এক দেশে একেক কাজের চাহিদা বেশি। তাই আপনি যদি মালেশিয়া কোম্পানি ভিসা করে কাজে যেতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে এর পূর্বে যাচাই-বাছাই করে যাওয়া উচিত। সেখানে যে কাজের চাহিদা বেশি সেই কাজের উপর ভিসা করে যাওয়া ভালো।

মালয়েশিয়ায় ম্যানুফ্যাকচারিং, কনস্ট্রাকশন ও প্ল্যান্টেশন সেক্টরে সবসময়ই শ্রমিকের চাহিদা বেশি থাকে। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স, টেক্সটাইল, অটোমোবাইল পার্টস ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরিতে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হয়।

 কনস্ট্রাকশন সেক্টরে রাজমিস্ত্রি, সহকারী শ্রমিক, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, ওয়েল্ডারদের নিয়োগ প্রচুর হয়। এছাড়াও প্ল্যান্টেশন বা কৃষি খাতে নারকেল, তেল-পাম চাষাবাদে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। যাদের কোনো বিশেষ ডিগ্রি বা অভিজ্ঞতা নেই, তারাও এই সেক্টরগুলোতে সহজেই কাজ পেতে পারেন।

সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়ায় আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং, হেলথকেয়ার ও সার্ভিস সেক্টরে দক্ষ কর্মীর চাহিদা অনেক বেড়েছে। সফটওয়্যার ডেভেলপার, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, ডেটা অ্যানালিস্ট, ডাক্তার, নার্স, অ্যাকাউন্টেন্ট এবং ম্যানেজারিয়াল পদে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

 এছাড়াও হসপিটালিটি ও ট্যুরিজম সেক্টরে হোটেল স্টাফ, কুক, ওয়েটার, ড্রাইভারদের জন্যও প্রচুর চাকরির সুযোগ রয়েছে। যারা উচ্চ শিক্ষিত বা অভিজ্ঞ, তারা Employment Pass-এর মাধ্যমে এই সেক্টরগুলোতে কাজ করতে পারেন এবং তুলনামূলকভাবে ভালো বেতন পান।

মালয়েশিয়ায় কোন কাজের বেতন কত

অলরেডি আমরা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু আমরা জানি না এই কাজের কত বেতন। যখন কেউ কোনও কাজ করতে চাই সেই অবশ্যই সেই কাজের বেতন সম্পর্কে না জেনে কাজ করবে না। তাই আপনারা যাঁরা উপর এই কাজগুলো করতে চান তাঁরা অবশ্যই এই কাজের বেতন সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন এখান থেকে। 

ইলেকট্রিশিয়ান কাজের বেতন কতঃ মালয়েশিয়াতে ইলেকট্রিশিয়ান কাজের চাহিদা অনেক বেশি। যেহেতু এই কাজের চাহিদা অনেক বেশি তাই এই কাজের বেতন অনেক বেশি। বর্তমানে এই দেশ। এই কাজের জন্য ২৫০০ রিঙ্গিত থেকে৩৮০০  রিঙ্গিত পর্যন্ত দিয়ে থাকে। যা বাংলাদেশি টাকায় 60000 থেকে 100000 পর্যন্ত। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই কাজের চাহিদা কত এবং বেতন কত বেশি।

ক্লিনার কাজের বেতন কতঃ এই দেশে ক্লিনারের কয়েক ধরনের কাজ রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি হল রোড ক্লিনার, মেডিকেল ক্লিনার, বিভিন্ন বাসা বাড়ির গ্লাস ক্লিনার, রেস্টুরেন্ট ক্লিনার। এখন অনেকেই আছেন যাঁরা এই ক্লিনারের কাজগুলো করতে চান তাঁরা এই ক্লিনারের কাজের ভিসায় সে দেশে যেতে পারেন। এখানে ক্লিনারে ধরন অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এখানে 22000 রিংগিত থেকে 35০০ সঙ্গীত পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়ে থাকে।যা বাংলাদেশি টাকায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বিভিন্ন ধরনের মিস্ত্রির কাজঃবাংলাদেশ থেকে বেশির ভাগ লোক এই ধরনের কাজ এ গিয়ে থাকেন। এই দেশ একটি উন্নত দেশ হওয়ার কারনে সেখানে অনেক কনস্ট্রাকশনের কাজ হয় বলে সেখানে রাজমিস্ত্রির অনেক চাহিদা বেশি। বর্তমানে দেশটিতে একজন রাজমিস্ত্রির কাজের বেতন ১৮০০ রিংগিত এবং অভারটাইম করে মাসে প্রায় ৩০০০ রিংগিত পাওয়া যায়।  তাই যারা মালয়েশিয়াতে কাজ করতে যেতে চান তারা এই কাজের ভিসিতে যেতে পারেন।

তাছাড়া সেখানে ফ্যাক্টরির কাজ এর বেতন ১৮০০ রিংগিত থেকে ২৪০০ রিংগিত এবং বাংলাদেশ থেকে প্রায় বেশির ভাগ মানুষ কনস্ট্রাকশনের কাজ  এ গিয়ে থাকে। বর্তমানে মালয়েশিয়াতে এই কাজের বেতন ১৮০০ রিংগিত থেকে ২৫০০ রিংগিত। তাছাড়া এই কাজে ওভারটাইম করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়।

মালয়েশিয়া কোম্পানি তে কাজের বেতন বৃদ্ধির সুযোগ সুবিধা

মালয়েশিয়ার অধিকাংশ কোম্পানিতে বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট সাধারণত বছরে একবার দেওয়া হয়। এটি মূলত কর্মীর পারফরম্যান্স, কাজের অভিজ্ঞতা এবং কোম্পানির আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। গড়ে ৫% থেকে ১৫% পর্যন্ত বেতন বাড়তে পারে। 

দক্ষ কর্মী, অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার, আইটি বিশেষজ্ঞ বা ম্যানেজমেন্ট পদের ক্ষেত্রে এই হার আরও বেশি হতে পারে। অনেক কোম্পানি পারফরম্যান্স বোনাস বা প্রফিট শেয়ারিং সিস্টেমও চালু রাখে, ফলে ভালো কাজ করলে বেতনের পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ার সুযোগ থাকে।

বেতন ছাড়াও মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলো সাধারণত বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন—

  • রিটায়ারমেন্ট সেভিংসের জন্য কোম্পানি ও কর্মী উভয়ে অবদান রাখে।

  •  স্বাস্থ্য বীমা ও কর্মস্থলে দুর্ঘটনার সুরক্ষা।

  •  অনেক কোম্পানি ফ্রি মেডিকেল সুবিধা বা ইন্স্যুরেন্স প্রদান করে।

  •  আইন অনুযায়ী কর্মীরা বেতনসহ ছুটি পান।

  •  অতিরিক্ত সময় কাজ করলে ওভারটাইম পেমেন্ট এবং ট্রান্সপোর্ট/হাউজিং এলাউন্স দেওয়া হয়।

মালয়েশিয়াতে থাকা খাওয়ার সুযোগ সুবিধা কেমন

মালয়েশিয়ায় থাকার ব্যবস্থা সাধারণত দুইভাবে পাওয়া যায় – কোম্পানি প্রদত্ত অ্যাকোমোডেশন অথবা নিজে ভাড়া নেওয়া। অনেক কোম্পানি তাদের কর্মীদের জন্য হোস্টেল বা শেয়ারড অ্যাপার্টমেন্টের ব্যবস্থা করে দেয়, যেখানে সাধারণত ২-৪ জন করে রুম শেয়ার করতে হয়। 

এতে খরচ কম হয় এবং ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুৎ, পানি) প্রায়ই কোম্পানি বহন করে। যদি নিজে ভাড়া নেন, তবে শহরের ভেতরে এক রুমের অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া গড়ে ৭০০–১,২০০ রিঙ্গিত এবং শেয়ারড রুম ৩০০–৫০০ রিঙ্গিতের মধ্যে পাওয়া যায়। বড় শহর (কুয়ালালামপুর, পেনাং) তুলনায় ছোট শহরে ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম।

মালয়েশিয়ায় খাওয়ার খরচ তুলনামূলক সাশ্রয়ী। যদি নিজে রান্না করেন, তবে মাসিক ৩০০–৪৫০ রিঙ্গিতের মধ্যে ভালোভাবে খাওয়া সম্ভব। বাজারে চাল, ডাল, সবজি, মাছ-মাংস সহজলভ্য। বাইরে খেতে চাইলে সাধারণ খাবারের দাম ৮–১৫ রিঙ্গিতের মধ্যে। বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান এবং মালয় রেস্টুরেন্টে ভাত-তরকারি সহজেই পাওয়া যায়। অনেক কোম্পানি লাঞ্চ বা ডিনারের ব্যবস্থা করে দেয়, ফলে খাওয়ার খরচ আরও কমে যায়।

FAQ:মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা বেতন কত 2025

প্রশ্ন ১: ২০২৫ সালে মালয়েশিয়ায় কোম্পানি ভিসায় গিয়ে গড় বেতন কত?
 গড়ে সাধারণ শ্রমিক বা ফ্যাক্টরি ওয়ার্কারদের মাসিক বেতন ১,৫০০–২,০০০ রিঙ্গিত, ওভারটাইমসহ মাসে ২,৫০০–৩,০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত হতে পারে।

প্রশ্ন ২: দক্ষ কর্মীদের বেতন কত হতে পারে?
ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার, টেকনিশিয়ানদের বেতন গড়ে ২,২০০–৩,৫০০ রিঙ্গিত। বিশেষ দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা থাকলে বেতন আরও বাড়ে।

প্রশ্ন ৩: অফিস বা আইটি সেক্টরে বেতন কেমন?
 আইটি স্পেশালিস্ট, ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাকাউন্টেন্ট বা ম্যানেজারদের গড় বেতন ৪,০০০–৮,০০০ রিঙ্গিত বা তারও বেশি হতে পারে।

প্রশ্ন ৪: বেতন কি বছরে বাড়ে?
 হ্যাঁ, মালয়েশিয়ার কোম্পানিতে বছরে একবার পারফরম্যান্স রিভিউ অনুযায়ী ৫–১৫% বেতন বৃদ্ধি দেওয়া হয়।

প্রশ্ন ৫: ওভারটাইম বা এলাউন্স কি থাকে?
হ্যাঁ, বেশিরভাগ কোম্পানি ওভারটাইম পেমেন্ট, বাসা ভাড়া এলাউন্স ও ট্রান্সপোর্ট এলাউন্স .

উপসংহারঃমালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা বেতন কত 2025

২০২৫ সালে মালয়েশিয়ায় কোম্পানি ভিসায় গিয়ে কাজ করলে গড় বেতন নির্ভর করবে কাজের ধরন, সেক্টর ও দক্ষতার উপর। সাধারণ শ্রমিক ও ফ্যাক্টরি ওয়ার্কারদের মাসিক বেতন গড়ে ১,৫০০–২,০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত হতে পারে, আর ওভারটাইম করলে আরও ৩০-৪০% পর্যন্ত বাড়তে পারে। 

দক্ষ কর্মী যেমন ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার বা টেকনিশিয়ানরা মাসে ২,২০০–৩,৫০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত পান। আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা ম্যানেজমেন্ট পদের ক্ষেত্রে বেতন অনেক বেশি, সাধারণত ৪,০০০–৮,০০০ রিঙ্গিত বা তারও বেশি হতে পারে। অর্থাৎ ২০২৫ সালে মালয়েশিয়ায় কোম্পানি ভিসায় কাজ করলে সঠিক সেক্টর ও দক্ষতার ভিত্তিতে ভালো উপার্জনের সুযোগ রয়েছে এবং ভবিষ্যতে বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও তুলনামূলকভাবে ভালো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url