শীতে ত্বকের যত্নে টমেটোর ব্যবহার ও জাদুকরী সব উপকারিতা

 শীতে ত্বকের যত্নে টমেটোর ব্যবহার ও জাদুকরী সব উপকারিতা শীতকালে ত্বক সহজেই শুষ্ক, খসখসে এবং নিস্তেজ হয়ে যায়। ঠান্ডা বাতাস ও কম আর্দ্রতার কারণে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে যায়, যার ফলে ত্বক টানটান, ফাটা বা খসখসে দেখায়। এই সময় টমেটো প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা ভিটামিন C, লাইকোপিন এবং প্রাকৃতিক জলীয় উপাদান ত্বককে ভিতরে থেকে পুষ্টি দেয়, মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বককে নরম ও কোমল রাখে।

শীতে-ত্বকের-যত্নে-টমেটোর-ব্যবহার

টমেটো ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে, ব্রণ ও ফুসকুড়ি কমায় এবং লোমকূপ পরিষ্কার রাখে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও এটি নিরাপদ। নিয়মিত টমেটো ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল, সতেজ এবং ঝলমলে থাকে। শীতকালে স্কিন কেয়ারের অংশ হিসেবে টমেটো ব্যবহার করলে ত্বক স্বাস্থ্যবান, প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর এবং জাদুকরীভাবে ঝলমলে থাকে।

পেজ সূচিপত্রঃ শীতে ত্বকের যত্নে টমেটোর ব্যবহার ও জাদুকরী সব উপকারিতা

শীতে ত্বকের যত্নে টমেটোর ব্যবহার ও জাদুকরী সব উপকারিতা

শীতকালে ত্বক শুষ্ক, খসখসে ও নিস্তেজ হয়ে যায়। ঠান্ডা বাতাস ও কম আর্দ্রতার কারণে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে যায়, যার ফলে ত্বক টানটান, ফাটা বা খসখসে দেখা দেয়। এই সময় টমেটো একটি প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা ভিটামিন C, লাইকোপিন এবং প্রাকৃতিক জলীয় উপাদান ত্বককে ভিতরে থেকে পুষ্টি দেয়, মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বককে নরম ও কোমল রাখে। নিয়মিত টমেটোর রস বা ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ থাকে এবং শীতের কঠিন আবহাওয়াতেও ত্বক সুস্থ থাকে।

শীতে-ত্বকের-যত্নে-টমেটোর-ব্যবহার-ও-জাদুকরী-সব-উপকারিতা

টমেটো এছাড়াও ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে, ব্রণ ও ফুসকুড়ি কমায় এবং লোমকূপকে পরিষ্কার রাখে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি নিরাপদ এবং নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক দীর্ঘদিন তরুণ ও ঝলমলে থাকে। শীতকালে টমেটোকে স্কিন কেয়ারের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করলে ত্বক থাকে স্বাস্থ্যবান, প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল এবং জাদুকরীভাবে সুন্দর।

শীতকালে ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে টমেটোর ভূমিকা

শীতকালে ঠান্ডা বাতাস ও আর্দ্রতার অভাবে ত্বক ধীরে ধীরে শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। এই সময় ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে খসখসে ভাব, টান টান অনুভূতি ও চুলকানি দেখা দেয়। টমেটোতে থাকা প্রাকৃতিক পানি, ভিটামিন ও মিনারেল ত্বকের ভেতরে হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। নিয়মিত টমেটোর রস বা পেস্ট ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও সতেজ থাকে।

অন্যদিকে টমেটোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুনরুজ্জীবিত করে। এটি ত্বকের উপরের স্তরকে পুষ্ট করে রুক্ষতা কমায় এবং ত্বককে মসৃণ করে তোলে। শীতকালে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার টমেটো ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্ক ভাব অনেকটাই কমে যায় এবং ত্বক স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে পায়।

 প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে টমেটোর কার্যকারিতা

শীতকালে ত্বকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আর্দ্রতার অভাব, যার ফলে ত্বক রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। টমেটোতে থাকা প্রাকৃতিক জলীয় উপাদান ও ভিটামিন ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা পৌঁছে দেয়। এটি ত্বককে ভেতর থেকে হাইড্রেট করে এবং দীর্ঘ সময় নরম রাখে। নিয়মিত টমেটো ব্যবহার করলে আলাদা কেমিক্যালযুক্ত ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন অনেকটাই কমে যায়।

টমেটোর আরেকটি বড় সুবিধা হলো এটি ত্বকে তেলতেলে ভাব সৃষ্টি না করেই ময়েশ্চারাইজ করে। যাদের ত্বক শীতে শুষ্ক হলেও ভারী ক্রিমে সমস্যা হয়, তাদের জন্য টমেটো একটি আদর্শ সমাধান। এটি ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য ঠিক রাখে এবং ত্বককে স্বাভাবিক, কোমল ও স্বাস্থ্যবান করে তোলে।

 ঠান্ডায় ফাটা ত্বক সারাতে টমেটোর ব্যবহার

শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে অনেকের ত্বক ফেটে যায়। বিশেষ করে মুখ, হাত ও পায়ের ত্বকে ফাটল, জ্বালা ও অস্বস্তি দেখা দেয়। টমেটোতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও পুষ্টিকর উপাদান ত্বকের এই ক্ষতিগ্রস্ত অংশকে দ্রুত আরাম দিতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ভেতর আর্দ্রতা ধরে রেখে ফাটা ত্বককে ধীরে ধীরে সুস্থ করে তোলে।

এছাড়া টমেটোর প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সহায়তা করে এবং ব্যথা ও জ্বালা কমায়। নিয়মিত টমেটোর রস বা পেস্ট ফাটা ত্বকে লাগালে ত্বক নরম হয় এবং ফাটল কমতে শুরু করে। শীতকালে সপ্তাহে কয়েকবার টমেটো ব্যবহার করলে ত্বক সুরক্ষিত থাকে এবং ফাটা ত্বকের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়।

শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে টমেটোর ম্যাজিক

শীতকালে ত্বক প্রায়ই নিস্তেজ ও প্রাণহীন দেখায়। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন কমে যায়, ফলে মুখের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। টমেটোতে থাকা ভিটামিন C ত্বকের কোষে নতুন প্রাণ সঞ্চার করে এবং নিস্তেজ ভাব দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও সতেজ করে তোলে।

এছাড়া টমেটো ত্বকের উপর জমে থাকা ময়লা ও মৃত কোষ দূর করে মুখকে পরিষ্কার রাখে। নিয়মিত টমেটোর রস বা ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের রং সমান হয় এবং মুখে প্রাকৃতিক গ্লো আসে। শীতকালেও ত্বককে ঝলমলে ও প্রাণবন্ত রাখতে টমেটোর ব্যবহার সত্যিই জাদুকরী ফল দেয়।

 টমেটো দিয়ে ডেড স্কিন দূর করার সহজ উপায়

শীতকালে ত্বকের উপর মৃত কোষ জমে গিয়ে মুখকে রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ দেখায়। এই ডেড স্কিনের কারণে ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায় এবং ফেসপ্যাক বা ক্রিম ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। টমেটোতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিড ও ভিটামিন মৃত কোষ আলগা করে তুলতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার ও সতেজ রাখে।

টমেটোর রস বা পেস্ট হালকা স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করলে ডেড স্কিন সহজেই উঠে যায়। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার আলতোভাবে ম্যাসাজ করলে ত্বক হয় মসৃণ ও কোমল। নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে শীতকালেও ত্বক থাকে পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।

 ত্বকের কালচে ভাব কমাতে টমেটোর উপকারিতা

শীতকালে ত্বকে রোদে পোড়া দাগ, ব্রণের দাগ বা পিগমেন্টেশনের কারণে কালচে ভাব দেখা দিতে পারে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বকের যত্ন কম হওয়ায় এই সমস্যা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। টমেটোতে থাকা ভিটামিন C ও প্রাকৃতিক অ্যাসিড ত্বকের গভীরে কাজ করে কালচে দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের রং সমান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

নিয়মিত টমেটোর রস বা ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের উপর জমে থাকা কালচে ভাব ধীরে ধীরে কমে আসে। এটি ত্বকের কোষকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং নতুন উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। শীতকালে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার টমেটো ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যবান দেখায়।

শীতে ব্রণ ও ফুসকুড়ি নিয়ন্ত্রণে টমেটো

শীতকালে অনেকের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলেও ভেতরে ভেতরে তেল জমে যায়, যার ফলে ব্রণ ও ফুসকুড়ির সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে গেলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। টমেটোতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে ব্রণের লালচে ভাব দূর করে।

নিয়মিত টমেটোর রস বা পেস্ট ব্যবহার করলে ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার থাকে এবং অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে নতুন ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। শীতকালেও ত্বক পরিষ্কার ও সুস্থ রাখতে সপ্তাহে দুইবার টমেটো ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

টমেটোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ত্বক থাকে তরুণ

শীতকালে ত্বক অনেক সময় নিস্তেজ ও ফ্ল্যাকি দেখায়, কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। টমেটোতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে লাইকোপিন, ত্বককে ফ্রি-র‍্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি ত্বকের কোষের বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে এবং ত্বককে দীর্ঘদিন তরুণ ও উজ্জ্বল রাখে।

নিয়মিত টমেটো ব্যবহারে ত্বকের স্থায়ী সৌন্দর্য বজায় থাকে। এটি বলিরেখা, খসখসে ভাব এবং ছিদ্র বড় হওয়া রোধ করে। শীতকালে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার টমেটো ব্যবহার করলে ত্বক থাকে কোমল, স্বাস্থ্যবান এবং প্রাকৃতিকভাবে দীপ্তিময়।

শীতে ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণে টমেটোর ভূমিকা

শীতকালে অনেকের ত্বক শুষ্ক হলেও কিছু কিছু অংশ অতিরিক্ত তেলতেলে হয়ে যায়, যা ব্রণ ও দাগের কারণ হতে পারে। টমেটো প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং স্কিন ব্যালান্স ঠিক রাখে। এতে ত্বক থাকে পরিষ্কার, মসৃণ এবং ঝলমলে।

টমেটো ব্যবহার করলে ত্বকের পোরস ছোট থাকে এবং মুখে তেলতেল ভাব কমে আসে। এটি নিয়মিত ব্যবহারে শীতকালে ত্বক সুস্থ, হাইড্রেটেড এবং আরামদায়ক থাকে। সপ্তাহে ২–৩ বার টমেটো ফেসপ্যাক বা রস ব্যবহার করলে ত্বককে ভারসাম্যপূর্ণ ও সতেজ রাখা যায়।

টমেটো ফেসপ্যাক: শীতের জন্য ঘরোয়া সমাধান

শীতকালে ত্বক সহজেই শুষ্ক, খসখসে এবং উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। কেমিক্যালযুক্ত ফেসপ্যাক অনেক সময় ত্বককে ক্ষতি করতে পারে। এমন সময় টমেটো একটি প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ সমাধান। টমেটোতে থাকা ভিটামিন C, লাইকোপিন এবং জলীয় উপাদান ত্বকের গভীরে কাজ করে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে, মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বককে কোমল ও সতেজ রাখে। টমেটো ফেসপ্যাক তৈরির জন্য মাত্র একটি পাকা টমেটো নিয়ে তা বেটে ব্যবহার করা যায়, অথবা দই বা মধুর সাথে মিশিয়ে আরও পুষ্টিকর বানানো যায়।

এই ঘরোয়া ফেসপ্যাক শীতকালে ত্বককে নতুন প্রাণ দেয়। এটি ত্বকের কালচে ভাব কমায়, ব্রণ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। নিয়মিত সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে ত্বক স্বাস্থ্যবান, মসৃণ এবং ঝলমলে দেখায়। টমেটো ফেসপ্যাক ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং ত্বককে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ, যদি পাতলা করে ব্যবহার করা হয়। শীতের কঠিন ঠান্ডা ও শুকনো আবহাওয়াতেও টমেটো ফেসপ্যাক ত্বককে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখে।

ত্বকের লোমকূপ ছোট করতে টমেটোর ব্যবহার

শীতকালে ঠান্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বকের লোমকূপ অনেক সময় বড় হয়ে যায়। বড় লোমকূপ ত্বককে খসখসে এবং অপ্রস্তুত দেখায়। টমেটোতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিড ও ভিটামিন লোমকূপ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বকের পোরসকে ধীরে ধীরে ছোট করে। নিয়মিত টমেটোর রস বা পেস্ট ব্যবহার করলে ত্বকের পোরস বন্ধ থাকে এবং ত্বক মসৃণ দেখায়।

টমেটো ফেসপ্যাকের সঙ্গে হালকা স্ক্রাব করলে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যায়। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে লোমকূপের আকার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ত্বক আরও কোমল ও স্বাস্থ্যবান হয়। শীতকালে টমেটো ব্যবহার করলে ত্বক সতেজ থাকে, তেলতেল ভাব কমে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এটি সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও নিরাপদ এবং নিয়মিত ব্যবহার ত্বককে দীর্ঘদিন ধরে ঝলমলে ও প্রাণবন্ত রাখে।

সংবেদনশীল ত্বকের যত্নে টমেটোর নিরাপদ ব্যবহার

শীতকালে সংবেদনশীল ত্বক সহজেই লালচে, জ্বালা বা খসখসে হয়ে যায়। কেমিক্যালযুক্ত স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ত্বককে আরও ক্ষতি করতে পারে। এই অবস্থায় টমেটো একটি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ সমাধান। টমেটোর হালকা অ্যাসিড এবং ভিটামিন ত্বকের কোষকে পুনরুজ্জীবিত করে, একই সঙ্গে প্রদাহ ও লালচে ভাব কমায়। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং স্কিন ব্যালান্স ঠিক রাখে।

সংবেদনশীল ত্বকের জন্য টমেটো ব্যবহার করতে হলে পাতলা করে ব্যবহার করা উচিত। টমেটো রস বা পেস্ট মাখিয়ে ১০–১৫ মিনিট রাখলেই ত্বক নরম, শান্ত এবং সতেজ হয়ে যায়। সপ্তাহে দুইবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ত্বক শীতকালে সুস্থ থাকে এবং জ্বালা বা ফুসকুড়ি কম হয়। নিয়মিত ব্যবহার ত্বককে মসৃণ, ঝলমলে এবং স্বাস্থ্যবান রাখে, যা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

শীতে ত্বক নরম ও মসৃণ রাখতে টমেটোর টিপস

শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়, বিশেষ করে হাত, মুখ এবং পায়ের ত্বক। টমেটো একটি প্রাকৃতিক সমাধান, যা ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা পৌঁছে দেয় এবং ত্বককে নরম ও কোমল রাখে। টমেটোতে থাকা ভিটামিন C, ভিটামিন A এবং প্রাকৃতিক জেল ত্বককে পুষ্টি প্রদান করে এবং মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত টমেটো ব্যবহার করলে শীতকালেও ত্বক থাকে সতেজ ও উজ্জ্বল।

শীতকালে টমেটোর রস বা পেস্ট ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করা সবচেয়ে কার্যকর। মধু বা দই মিশিয়ে ফেসপ্যাক করলে ত্বক আরও বেশি নরম এবং পুষ্ট হয়। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার টমেটো ব্যবহার করলে ত্বক খসখসে ভাব থেকে মুক্ত থাকে। এটি ত্বকের স্থায়ী আর্দ্রতা বজায় রাখে, পোরস পরিষ্কার রাখে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যবান ও ঝলমলে দেখায়। শীতকালে নিয়মিত ব্যবহার ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে কোমল ও প্রাণবন্ত রাখে।

নিয়মিত টমেটো ব্যবহারে শীতেও ঝলমলে ত্বক

শীতকালে ত্বক শুষ্ক, খসখসে এবং নিস্তেজ হয়ে যায়, যা দেখতেও অপ্রস্তুত লাগতে পারে। নিয়মিত টমেটো ব্যবহার ত্বককে ভিতরে থেকে পুষ্টি দেয় এবং প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। টমেটোর ভিটামিন C ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং ফ্রি-র‍্যাডিক্যালের ক্ষতি কমায়। এর ফলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যবান এবং দীর্ঘদিন তরুণ।

সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার টমেটো ফেসপ্যাক বা রস ব্যবহার করলে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়। এটি মৃত কোষ দূর করে, পোরসকে পরিষ্কার রাখে এবং ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখে। শীতের কঠিন ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ায়ও টমেটো নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক সতেজ, প্রাণবন্ত এবং ঝলমলে থাকে। নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের স্থায়ী উজ্জ্বলতা বজায় রাখে এবং শীতেও ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে।

শেষ কথাঃশীতে ত্বকের যত্নে টমেটোর ব্যবহার ও জাদুকরী সব উপকারিতা

শীতে ত্বকের যত্নে টমেটোর ব্যবহার ও জাদুকরী সব উপকারিতা শীতকালে ত্বক শুষ্ক, খসখসে ও নিস্তেজ হয়ে যায়, যা নিয়মিত যত্ন ছাড়া ঝলমলে রাখা কঠিন। টমেটো প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে পুষ্টি, আর্দ্রতা ও উজ্জ্বলতা দেয়। এটি মৃত কোষ দূর করে, লোমকূপ পরিষ্কার রাখে এবং ত্বককে মসৃণ ও কোমল করে। টমেটোর ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শীতের কঠিন আবহাওয়ায়ও ত্বককে স্বাস্থ্যবান, সতেজ এবং ঝলমলে রাখে।

নিয়মিত টমেটো ব্যবহারে শীতকালে ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত থাকে। এটি সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও নিরাপদ, ফ্রি-র‍্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের স্থায়ী সৌন্দর্য বজায় রাখে। শীতকালে টমেটোকে স্কিন কেয়ারের অংশ হিসেবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক সত্যিই ঝলমলে, কোমল এবং জাদুকরীভাবে সুন্দর থাকে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url