মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ৭ টি সহজ উপায়

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ৭ টি সহজ উপায় হয়তো অনেকেই জানেনা। বর্তমান যুগে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্তি। পেশা যেখানে অন্যের অধীনে কাজ করা লাগে না। আপনি ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল- দিয়ে -ফ্রিল্যান্সিং -করার -সাতটি -সহজ- উপায়

আধুনিক এই যুগে এসে স্মার্টফোনের গুরুত্ব অনেকটা দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। আর এই ফোনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করেই অনেকেই মাসে কোটি কোটি টাকাও ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে।মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ৭ টি সহজ উপায় বলবো।

পেজ সূচিপত্রঃমোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ৭ টি সহজ উপায়

কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সহজ উপায় এ করতে হয় এ সম্পর্কে কি আপনি বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন? কিন্তু কোথাও বিস্তারিত ধারণা পাচ্ছেন না? হ্যাঁ, আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে  জানাবো হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ৭ টি সহজ উপায়। যদি আপনি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

অনেকেই আছে যারা ইনকামের কোন সোর্স অথবা পথ খুঁজে পায় না। কিন্তু তারা জানে না যে তাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এখন ফ্রিল্যান্সিং করেই মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে। তবে আপনাকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অবশ্যই একটি ভালো মানের মোবাইল নিতে হবে।

যদি আপনি একটি ভালো মানের মোবাইল ফোন নিতে পারেন তাহলে এই মোবাইল ফোন প্রতিদিন 6 থেকে 7 ঘন্টা ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। 

যেসব মোবাইল ফোনের স্টোরেজ বেশি সেসব মোবাইল দেখে কিনবেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে আপনাকে নানা ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। আবার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য একটি ভালো মানের মোবাইল দরকার। তাহলে চলুন জেনে নেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা ৭ টি সহজ উপায়।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ৭ টি সহজ উপায় 

বর্তমান ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং উপার্জনের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সবার জন্য কাজ করছে। যারা এই মোবাইল ফোনকে ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারছে শুধুমাত্র তারাই এখান থেকে উপকার নিয়ে আসে এবং সেইসাথে ইনকামের পথ বের করে নেয়।

বিশেষ করে যারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনতে পারেনি তাদের জন্য মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং একটি আশার আলো জাগিয়েছে। এখন বিভিন্ন অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করে মোবাইল থেকে আজকাল সহজেই আয় করা সম্ভব হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও বিশ্বের অনেক তরুণ তরুণী ঘরে বসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করছে। আর্টিকেলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ৭ টি সহজ উপায় বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ৭ টি সহজ উপায় 

  1. আর্টিকেল বা ব্লগ লেখা
  2. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা
  3. গ্রাফিক্স ডিজাইন করা
  4. অনুবাদের কাজ
  5. ডাটা এন্ট্রির কাজ
  6. ভিজিটিং কার্ড বানানো
  7. ভিডিও তৈরি করা
আপনার হাতে যদি একটি ভালো ফোনের স্মার্টফোন থাকে এবং আপনি যদি উপরের ৭ টি উপায় কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনি ঘরে বসেই খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করে ঢাকায় করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে লেখালেখি করে ইনকাম

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার একটি সহজ উপায় হচ্ছে লেখালেখি করা। হ্যাঁ, এখন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বাংলা লেখালেখি করে আপনি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনার প্রয়োজন একটি ভালো মানের স্মার্টফোন। তাহলেই আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই বাংলা লেখালেখি করার মাধ্যমে একজন ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠতে পারবেন।

অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন শুধুমাত্র কে বাংলা লেখালেখি করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ভেবেছেন। শুধুমাত্র বাংলা লেখালেখি করার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠানে আছে যেগুলো বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখে নেয়। আপনি সেখানে একজন রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন।

আবার নিজে একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে প্রতিদিন এক থেকে দুইটি করে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে পারেন এবং এটি যখন গুগল এডসেন্স পেয়ে যাবে তখন সেখান থেকে আপনি প্রতি মাসে কমপক্ষে 20 থেকে 30 হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তাই বলা যায় যে আপনার হাত থাকা স্মার্টফোন দিয়ে এখনই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন মোবাইলের মাধ্যমে

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি অন্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা প্রচার করে বিক্রির মাধ্যমে কমিশন অর্জন করতে পারেন। ভালো খবর হলো, এখন মোবাইল দিয়েই সহজভাবে এই কাজ শুরু করা যায়। 

নিচে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলোঃ

ধাপ ১ঃ একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হন

প্রথমে আপনাকে একটি বিশ্বাসযোগ্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিতে হবে। নিচের কিছু জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কে আপনি মোবাইল থেকেই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন

  • Amazon Associates
  • Daraz Affiliate Program বাংলাদেশে জনপ্রিয়
  • ClickBank
  • CJ Affiliate
  • ShareASale

এই সাইটগুলোতে গিয়ে সাইন আপ করে আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট লিংক পাবেন, যেটা ব্যবহার করে আপনি প্রোডাক্ট শেয়ার করতে পারবেন।

 ধাপ ২ঃ ফেসবুক, ইউটিউব বা ব্লগ ব্যবহার করুন

  • মোবাইল ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করার সবচেয়ে কার্যকর জায়গা হলো সোশ্যাল মিডিয়া।
  •  ফেসবুক পেজ/গ্রুপ: একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ফেসবুক পেজ তৈরি করুন যেমন: “মা ও শিশুর যত্ন” বা “স্মার্টফোন ডিলস” এবং সেখানেই প্রোডাক্টের রিভিউ পোস্ট করুন। পোস্টের নিচে অ্যাফিলিয়েট লিংক দিন।
  •  ইউটিউব শর্টস: মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে আপনি ইউটিউবেও রিভিউ বা টিউটোরিয়াল দিতে পারেন। ভিডিওর ডেসক্রিপশনে অ্যাফিলিয়েট লিংক দিন।
  • ব্লগিং অ্যাপ: চাইলে মোবাইল অ্যাপ যেমন Blogger, WordPress অ্যাপ ব্যবহার করে ছোট ছোট রিভিউ লিখে লিংক যুক্ত করতে পারেন।

 ধাপ ৩ঃকনটেন্ট তৈরি করুন

মোবাইল দিয়েই Canva, InShot, CapCut ইত্যাদি অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি প্রোডাক্ট রিভিউ, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক, রিলস ইত্যাদি তৈরি করতে পারেন। কনটেন্ট যত আকর্ষণীয় হবে, তত বেশি মানুষ ক্লিক করবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ, সাশ্রয়ী ও লাভজনক একটি উপার্জনের পথ। বাংলাদেশের প্রায় ৭০% মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে। ইচ্ছা, ধৈর্য ও নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি থাকলে আপনি ঘরে বসেই মোবাইল ফোন দিয়ে আয় করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করা যায়

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করা এখন আগের থেকে অনেক সহজ ও কার্যকর হয়ে উঠেছে সবার কাছেই। বর্তমানে এমন অনেক মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে প্রফেশনাল মানের ডিজাইন করা যায়। তবে অবশ্যই আপনার ফোনটিকে একটি ভালো মানের ফোন হতে হবে।

যেমনঃ Canva, Pixellab, Adobe express , Infinite Desing এইসব অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি লোগো ডিজাইন, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, youtube এর থাম্বেল ইত্যাদি তৈরি করতে পারবেন। বর্তমান যুগে Canva হল সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। যেখানে হাজার হাজার রেটিমেড টেমপ্লেট পাওয়া যায়। শুধুমাত্র লেখায় এবং ছবির রং পরিবর্তন করলেই একটি মানসম্মত ডিজাইন এর ছবি তৈরি করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে। যেগুলো তো কাজ করে আপনি প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। যেমনঃ ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এইসব এপ এর মাধ্যমে আপনার তৈরি বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনগুলো সেল করতে পারেন। তাছাড়া সেখানে আপনি একজন বায়ার হিসেবে কাজ করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে অনুবাদের কাজ করুন

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ৭ টি সহজ উপায় হলো অনুবাদের কাজ করা। মোবাইল দিয়ে অনুবাদের কাজ করে এখন আগের থেকে অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। কারণ এগুলো গুগল ট্রান্সলেট , ডি পি এল অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে এক ভাষা থেকে আরেক ভাষার রূপান্তর করা যায়।

অনুবাদের এই অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন টপিকের উপর আর্টিকেল অথবা ব্লগ লিখে আয় করা যায়। বিভিন্ন দেশের ভাষায় গল্প অথবা যেকোনো বিষয়ে আর্টিকেল লিখে ওয়েবসাইটে কাজ করে প্রতি মাসে হাজার হাজার ইনকাম করা যায়।

মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা সহজ নিয়ম

মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা এখন খুবই সহজ, কারণ অনেক ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ও অ্যাপ এখন মোবাইল ফ্রেন্ডলি হয়ে গেছে। প্রথমে আপনাকে একটি স্মার্টফোন, ইন্টারনেট সংযোগ এবং গুগল ডকস বা এক্সেল অ্যাপস ইন্সটল করতে হবে।

 এরপর Fiverr, Upwork, Freelancer বা PeoplePerHour এর মতো সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে "Data Entry" প্রোফাইল তৈরি করুন। এই প্রোফাইলে আপনি লিখবেন যে আপনি মোবাইল দিয়েই টাইপিং, ফর্ম ফিলাপ, ওয়েব রিসার্চ, Excel ডাটা সাজানো, কপি-পেস্ট কাজ করতে পারেন।


অনেক ক্লায়েন্ট Google Sheets বা Excel ফাইল পাঠায়, যেগুলো আপনি মোবাইল অ্যাপ দিয়ে খুলে ডেটা বসাতে পারেন। টাইপিং কাজের জন্য কীবোর্ড অ্যাপ (যেমন Gboard বা Microsoft SwiftKey) ব্যবহার করলে আরও দ্রুত কাজ হবে। 

এছাড়া OCR Scanner দিয়ে ছবি থেকে লেখা তুলে Excel এ বসাতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ছোট ও মাঝারি ধরনের ডাটা এন্ট্রি কাজ নিয়মিত করলে আয় করা সম্ভব এবং ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা বাড়ালে বড় প্রজেক্টও হাতে নিতে পারবেন। তাই বলা যায় যে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

ভিজিটিং কার্ড কিভাবে মোবাইল দিয়ে তৈরি করবেন

অনেক ও হয়তো ভাবছেন ল্যাপটপ ছাড়া কিভাবে মোবাইল দিয়ে  ভিজিটিং কার্ড তৈরি করবেন। কিন্তু এখন মোবাইলের মাধ্যমেও ভিজিটিং কার্ড করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। আপনার যদি একটু ভালো মানের স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে এই ধরনের কাজ করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করা খুব সহজ ও দ্রুত করা যায়, শুধু প্রয়োজন সঠিক অ্যাপ এবং কিছু সৃজনশীলতা। নিচে ধাপে ধাপে মোবাইলে ভিজিটিং কার্ড তৈরির নিয়ম দেওয়া হলোঃ

১. অ্যাপস ডাউনলোড করুন:
প্লে-স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে নিচের যেকোনো একটি অ্যাপ ডাউনলোড করুন –

  • Canva
  • Business Card Maker
  • Desygner
  • Adobe Express

এই অ্যাপগুলোতে প্রচুর রেডিমেড টেমপ্লেট পাওয়া যায়, যেগুলো কাস্টমাইজ করে সহজেই ভিজিটিং কার্ড বানানো যায়।

২. ডিজাইন প্রক্রিয়াঃ

  • অ্যাপ ওপেন করে “Business Card” বা “ভিজিটিং কার্ড” অপশন সিলেক্ট করুন।
  • পছন্দের একটি টেমপ্লেট বেছে নিন।
  • নিজের নাম, পেশা, মোবাইল নম্বর, ইমেইল, ঠিকানা, ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া লিংক লিখে দিন।
  • চাইলে নিজের ছবি বা লোগো আপলোড করে বসাতে পারেন।
  • ফন্ট, কালার, ব্যাকগ্রাউন্ড সব কিছু নিজের মতো কাস্টমাইজ করতে পারবেন।

৩. সংরক্ষণ ও ব্যবহারঃ
ডিজাইন শেষ হলে মোবাইলেই PDF বা PNG ফরম্যাটে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আপনি চাইলে এই ডিজাইন সরাসরি প্রিন্ট করে ভিজিটিং কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অথবা ডিজিটাল ফর্মে ক্লায়েন্টদের পাঠাতে পারেন।

এইভাবে মোবাইল দিয়েই আপনি নিজে কিংবা অন্যের জন্য ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে ইনকাম করতেও পারেন।

মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করে আয় করুন

মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও বানিয়ে এখন আপনি ঘরে বসে মাসে হাজার হাজার টাকায় করতে পারবেন। কিন্তু কিভাবে করবে এ প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে সহজে বোঝানোর চেষ্টা করব।

যাদের কাছে স্মার্টফোন আছে তারা বিভিন্ন ধরনের মজার ভিডিও ও শিক্ষামূলক ভিডিও বানিয়ে সেগুলি ফেসবুক পেজে প্রতিদিন একটা করে আপলোড করবেন। কিছুদিন পর মনিটাইজেশন পেয়ে গেলে এই ধরনের ভিডিও প্রতিদিন আপলোড করার জন্য আপনি আসেন হাজার হাজার টাকা পাবেন।

তাছাড়া ইউটিউবে ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে বিভিন্ন বিষয় ভিডিও বানিয়ে প্রতি মাসে  ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এই ধরনের কাজ করতে আপনাকে বিশেষ কোন যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র ভালো ক্যামেরা এই ধরনের একটি ফোন থাকলে হবে এবং কেপ কার্ড এপপ্সের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই ভিডিও এডিটিং করে আয় করতে পারবেন।

FAQ

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ৭ টি উপায় সম্পর্কিত ১০টি সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ) নিচে দেওয়া হলো:


১. মোবাইল দিয়ে কি সত্যিই ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?
হ্যাঁ, এখন অনেক ফ্রিল্যান্সিং কাজ মোবাইল দিয়েই করা যায়, যেমন: অনুবাদ, গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, এবং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট।

২. কোন অ্যাপ দিয়ে মোবাইল থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়?
Fiverr, Upwork, Freelancer, Toptal, এবং PeoplePerHour – এই অ্যাপগুলো মোবাইলে ব্যবহারযোগ্য এবং বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়।

৩. মোবাইল দিয়ে কোন ধরণের কাজ সবচেয়ে সহজে করা যায়?
ডেটা এন্ট্রি, ট্রান্সলেশন, রাইটিং, কাস্টমার সার্ভিস, এবং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট কাজগুলো মোবাইল দিয়ে সহজে করা যায়।

৪. মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ইন্টারনেট স্পিড কত হওয়া উচিত?
কমপক্ষে ৫ Mbps বা তার বেশি স্পিড হলে ভালোভাবে কাজ করা যায় এবং ভিডিও কল বা ফাইল আপলোডে সমস্যা হয় না।

৫. মোবাইল দিয়ে কিভাবে গ্রাফিক ডিজাইন করা যায়?
Canva, Pixellab, বা Adobe Express এর মতো অ্যাপ দিয়ে সহজেই মোবাইলে পোস্টার, লোগো, বা ব্যানার ডিজাইন করা যায়।

৬. কি ভাবে মোবাইলে কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো?
YouTube, Facebook page বা অ্যাপ (যেমন: 10 Minute School, Bohubrihi) থেকে কাজ শেখা শুরু করতে পারেন।

৭. মোবাইল দিয়ে ইনকাম হলে পেমেন্ট কোথায় আসবে?
পেমেন্ট সাধারণত Payoneer, Skrill, অথবা সরাসরি বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্টে নেওয়া যায় (বাংলাদেশে এক্সচেঞ্জার ব্যবহার করে)।

৮. মোবাইল দিয়ে কি ভিডিও এডিটিং সম্ভব?
হ্যাঁ, Kinemaster, CapCut বা InShot-এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইলেই সহজ ভিডিও এডিটিং করা যায়।

৯. মোবাইল দিয়ে কি কাস্টমার সাপোর্ট কাজ করা যায়?
হ্যাঁ, মোবাইল ব্যবহার করে ইমেইল, WhatsApp, অথবা চ্যাট সিস্টেম দিয়ে কাস্টমার সাপোর্ট দেওয়া সম্ভব।

১০. মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?
আপনার দক্ষতা, কাজের পরিমাণ ও ক্লায়েন্টের উপর নির্ভর করে মাসে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার বা তার বেশি ইনকাম করা সম্ভব।

উপসংহার

বর্তমান যুগে প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে মোবাইল ফোনই হয়ে উঠেছে আমাদের হাতের ছোট্ট অফিস। আগে ফ্রিল্যান্সিং মানেই ছিলো ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের প্রয়োজন, কিন্তু এখন মোবাইল দিয়েই গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, অনুবাদ, ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা ভিডিও এডিটিং এর মতো কাজ করা সম্ভব। 

শুধু প্রয়োজন দক্ষতা, ধৈর্য এবং সঠিক দিকনির্দেশনার। যারা বাড়িতে বসে উপার্জন করতে চান কিংবা ছাত্র-ছাত্রী বা গৃহিণী মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং তাদের জন্য একটি দারুণ সুযোগ। শুরুটা হতে পারে ছোট পরিসরে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অভিজ্ঞতা ও ক্লায়েন্ট বাড়লেই বাড়বে আয়।

সঠিক প্ল্যাটফর্ম বেছে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করলেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে আপনার অর্থনৈতিক স্বাধীনতার অন্যতম পথ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url